প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে পরবর্তীতে মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা শিশুদের শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, ভাষাবৃত্তিক, সামাজিক ও আবেগিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে । এই গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ ৫+ বয়সি শিশুদের জন্য এবং পর্যায়ক্রমে ৪+ বয়সি শিশুদের জন্য অর্থাৎ ২ বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণের উল্লেখ করা হয়েছে ।
এর পূর্বে ২০০৮ সালে সারাদেশে ৩-৫ বছর বয়সি সকল শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে একটি সর্বজনস্বীকৃত জাতীয় মানের ওপর ভিত্তি করে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যকরভাবে ও সুসংগঠিতরূপে বাস্তবায়নের জন্য “প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার পরিচালন কাঠামো” প্রণয়ন করা হয়। অনুমোদিত কাঠামোর আলোকে ২০১০ সালে অন্তর্বর্তীকালীন প্যাকেজের মাধ্যমে সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ৫+ বয়সি শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ৫+ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম প্রনয়ন করা হয়। অনুমোদিত শিক্ষাক্রমের আলোকে ৫+ বয়সি শিশুদের জন্য শিখন – শেখানো সামগ্রী প্রনয়ন করে ২০১৪ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশে ৫+ বয়সি শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
বইটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন